স্বদেশ ডেস্ক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ সোমবার। ভর্তি পরীক্ষা চলবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত। এ বছর তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এক একটি আসনের জন্য লড়বেন ৩১ শিক্ষার্থী।
রাবির জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪ অক্টোবর (বিজ্ঞান) সি ইউনিট, ৫ অক্টোবর (মানবিক) এ ইউনিট ও ৬ অক্টোবর (বাণিজ্য) বি ইউনিটের পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন ৩ শিফটে সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩০ মিনিট, দুপুর ১২ থেকে বেলা ১টা ও বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এমসিকিউ পদ্ধতিতে এক ঘণ্টায় হবে ভর্তি পরীক্ষা। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৮০টি প্রশ্ন থাকবে। এতে প্রতি ৫টি ভুল উত্তরের জন্য ১ নম্বর কাটা যাবে।
চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষায় সি ইউনিটে ৪৪ হাজার ১৯৪, এ ইউনিটে ৪৩ হাজার ৫৫৮ ও বি ইউনিটে ৩৯ হাজার ৮৯৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন। তিনটি ইউনিটে বিশেষ কোটা বাদে ৪ হাজার ১৭৩টি আসনের বিপরীতে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৭ জন ভর্তি–ইচ্ছুক অংশ নেবেন। অর্থাৎ একটি আসনের বিপরীতে ৩১ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে নির্ধারিত কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের ইতিমধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার রোল নম্বর ও পরীক্ষাকক্ষের তথ্য জানানো হয়েছে। পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশপত্র, পরীক্ষাসংক্রান্ত উপকরণ ও কাগজপত্র ছাড়া অন্য কিছু, যেমন: ইলেকট্রনিকস যন্ত্র ইত্যাদি আনা যাবে না।
ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার কক্ষসহ পুরো ক্যাম্পাস চার স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় থাকবে। পরীক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ধরনের অপরাধ, যেমন : অসদুপায় অবলম্বন, আর্থিক লেনদেন, ভুয়া ও ভাড়াটে পরীক্ষার্থীর তৎপরতা, ওএমআর শিট পরিবর্তনসহ অন্য যেকোনো অপরাধ কঠোরভাবে দমন করা হবে।
পরীক্ষার নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীকে দুই কান খোলা রেখে এবং মাস্ক পরে আসতে হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে এবং পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট পর কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষার্থীকে দুই পৃষ্ঠার প্রবেশপত্র ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষার হলে ক্যালকুলেটর, মেমোরিযুক্ত ঘড়ি, মোবাইল, ব্লু-টুথ বা টেলিযোগাযোগ করার মতো কোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্র আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এদিকে, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রীদের জন্য স্থান সংকুলান সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোর কমন স্পেস, যেমন: টিভি রুম, ওয়েটিং রুম, হল রুম, নামাজ ঘর ইত্যাদি স্থানে অবস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা চলাকালে অভিভাবকদের বসার জন্য ক্যাম্পাসে নির্ধারিত কয়েকটি স্থানে ব্যবস্থা করা হয়েছে।